ঝগড়া
ঝগড়া
জীবনকে যারা দুই ভাগ করে তাদের ২য় জীবন ফেসবুক। সেখানেও রয়েছে ঝগড়ার উপাদান। কিছু সম্পর্ক ঝগড় বা মনোমালিন্য মাধ্যমে সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেই স্থান- ফেসবুক। এই ঝগড়ার শুরুটা একে ওপরকে খোঁচা মেরে কথা বলা, কটুক্তি কথা বলা, অভিমান করা। আবার ভিন্ন রুপেও হয়ে থাকে, যেমন দীর্ঘ নীরবতা বা দীর্ঘশ্বাস থেকেও জন্মও হতে পারে ঝগড়া। মজার বিষয় হচ্ছে এইধরনে ঝগড়া বেশিরভাগই হয়ে থাকে ছেলে-মেয়েদের মাঝে।
ফেসবুকে চ্যাটে ঝগড়ার মাঝে কিছু কমন ডাইলগ রয়েছে। যদিও আমি কোনো বাংলা সিনেমায় বা নাটকে এখনো দেখিনি। তবে আমি আশাবাদী আগামীতে দেখতে পারবো। যেমন-
১/ এই আমাকে ব্লক মারো। আমি বলছি তাই ব্লক করবা। আর কোন কারণ তো দরকার নাই।
২/ তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়ে থাকো। আমার কোন সমস্যা নাই। ৩/ ফেসবুকে কে আমার ফ্রেন্ড হবে না হবে সেটা কি তুমি ঠিক করবা নাকি?
এইধরনে ঝগড়া হয়ে থাকে চ্যাটে। এমনও হতে পারে, দেরি করে জবাব দেয়া। অনেকই এধরনের ঝগড়াকে মনে করে ছাতাহীন রাস্তায় চলা ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার মতো।
কিছু সর্ম্পক ঝগড়ার মাঝে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে একঘেঁয়েমি শুরু লক্ষণ-
আমি আমার প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট/ডিলেট করে দিবো।
আমার আগামী কয়েক মাস ফেসবুকে আসা হবে না।
কিছুক্ষণ পর একটি কমন স্ট্যাস্টাস দিতে অনেকই ভুল করেনা।
স্বভাবগতভাবে বা আবেগবসতে বা মনে দুঃখে তারা তাদের ভাব প্রকাশ করে এই ধরনে স্ট্যাটাস দিয়ে-
‘’এই পৃথিবীতে সব ধরনের অপরাধের বিচার হয়, শুধুমাত্র মন ভাঙার অপরাধের বিচার হয়না, কারন এতো বড় অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা মানুষের নেই।‘’ আমার মনেহয় হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকলে এই বিষয়ে আরো কিছু কিছুদিন যেতে না যেতেই, কয়েক দিনের মাথায় বান্দা আবার কামব্যাক।
এইধরনে ঝগড়ায় ভাল মূল ভূমিকা পলন করে থাকেন গার্লফ্রেন্ডের/বয়ফ্রেন্ডে তবে ঝগড়ার শেষটা খুব অদ্ভূত। এই অদ্ভূত ঝগড়ার পুরোটা সময় দু'জনের কেউই হয়তো নিজেদের কোন দোষ আছে বলে মানতে রাজি নয়। অথচ ঝগড়া শেষ হবার পর তখন যেন নিজের দোষ খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না। সব ঝগড়ার শেষটা মধুর হয় না। রিলেশন শেষ হয়ে যায় বা হওয়ার পরও অপেক্ষা থাকে।
তখন তাদের সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার জন্য অনেকই শিশুদের মতে হয়ে যায়। ঠিক তখনকার সময় দেখাযায় কৃত্তিম অভিমানের সুরে বলে- আমাকে তো আর তোমার দরকার নাই। ঠিক আছে যাও, ঐ মেয়ের কাছে যাও/ ঐ ছেলের কাছে যাও। আমিতো এখন পুরান হয়ে গেছি। নতুন নিয়ে আনন্দ করো।
কোন মন্তব্য নেই