বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা Bangladesh National Zoo
Tiger is King |
বাংলাদেশের সবচাইতে ভাল একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ঢাকার
মিরপুর। এই ঢাকা-মিরপুরে রয়েছে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় চিড়িয়াখানা। যা আমরা
বাংলাদেশের মানুষ এই চিড়িয়াখানাকে চিনি বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে।
বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তর চিড়িয়াখানা হচ্ছে ঢাকা মিরপুর চিড়িয়াখানা।
Bangladesh zoo , Dhaka Chiriakhana |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা (Bangladesh Jatio Chiriakhana) পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। যেখানে বন্যপ্রাণী বন্দী অবস্থায় সংরক্ষণ এবং গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, সেইসাথে দর্শনার্থীদের জন্য উপভোগ করার জন্য এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে দেখার মতো অনেক কিছু।
নিচে দেখুন জাতীয় চিড়িয়াখানার একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করেছি আপনারা চাইলে ভিডিওটি দেখতে পারেন এছাড়াও এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ভিডিও
যতদূর মনে পড়ে আমি ২০১০ সালে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায গ্রামীণফোনের গুলশান অফিসে ইন্টারনেট বিষয় নিয়ে আমাদের একটি ট্রেনিং ছিলো তিন দিনব্যাপী। আমার যেদিন ট্রেনিং শেষ হয়েছিল সেদিন এই জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। এটাই ছিলো আমার প্রথম চিড়িয়াখানা ভ্রমন। তারপর সর্বশেষ জাতীয় চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম ২০২০ সালে।সেই সময়টা খুবই আনন্দময় ছিলো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচু পর্বতমালা Highest mountains in the world
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ( Bangladesh National Zoo)
অবস্থিত মিরপুর। জীবজন্তুর প্রদর্শন হিসেবেই চিড়িয়াখানাটি ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট
চত্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তারপরেই চিড়িয়াখানাটি স্থানান্তরিত চিড়িয়াখানার রূপ ধারণ করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন চিড়িয়াখানা সর্বসাধারণের
জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
Bangladesh zoo |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা টি ২০১৫ সালে পাঁচই
ফেব্রুয়ারিতে নাম পরিবর্তন করা হয়, তখন থেকেই চিড়িয়াখানাটি নামকরণ করা হয়
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। ঢাকা চিড়িয়াখানায় আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর, এই চিড়িয়াখানায় ১৩
হেক্টরের দুটি লেক রয়েছে।
প্রতিবছরে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী এই ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে
আসে।বিভিন্ন তথ্য মতে মিরপুরে এই চিড়িয়াখানায় গড়ে প্রতিমাসে ৯ থেকে ১০ হাজারে মতো
দর্শনার্থী আসে এবং ঈদ উৎসবে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মতো।
অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover
Bangladesh zoo , Dhaka chiriakhana |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা সাপ্তাহিক ছুটি প্রতি রবিবার
যদি কোনো কারণবশত সাপ্তাহিক ছুটির রবিবার সরকারি ছুটি থাকে তাহলে চিড়িয়াখানা
খোলা থাকে, শুধু দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে এইনিয়মটি বর্তমানে চালু রয়েছে।
চিড়িয়াখানা খোলার সময়সূচী হচ্ছে গ্রীষ্মকালে এপ্রিল অক্টোবর , সকাল ৯টা থেকে
বিকেল ৬ টা । শীতকালীন মৌসুমে নভেম্বর-মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
চিড়িয়াখানাটি খোলা থাকে।
Dhaka Mirpur Chiriakhana , Dhaka |
জাতীয় চিড়িয়াখানা টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। ২ বৎসরের বাচ্চাদের
প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকেট সংগ্রহ করতে হয় না। এছাড়া প্রাণী যাদুঘরে প্রবেশ ফি
প্রতিজন ১০ টাকা।চিড়িয়াখানার প্রবেশ দ্বারে মোট ৪টি কাউন্টার রয়েছে।
মিরপুর চিড়িয়াখানা |
প্রাণী জাদুঘরের প্রবেশের জন্য চিড়িয়াখানার প্রবেশ গেট থেকে
টিকেট সংগ্রহ করতে হয় না । চিড়িয়াখানার ভিতরে টিকেট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা
রয়েছে যেমন প্রাণী জাদুঘরের সামনে টিকেট কাউন্টার থেকে মাইকিং করে টিকিট বিক্রয়
করে।
মিরপুর চিড়িয়াখানা |
আপনি যদি চিড়িয়াখানা ভ্রমন করতে চান তাহলে চিড়িয়াখানার
ঢুকার পূর্বে পানির বোতল সঙ্গে করে নিন, সেইসঙ্গে শুকনো খাবার নিতে পারেন কারণ
যেহেতু অনেক বড় চিড়িয়াখানা একসময় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।
National zoo bd |
চিড়িয়াখানা গেইটের সামনে যখন আপনি যাবেন তখন বিভিন্ন ধরনের
খাবারের দোকান আপনার চোখের সামনে পড়বে এ সমস্ত দোকানে
বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। এই খাবারের দোকান গুলিতে আপনার কাছে হয়তো খাদ্যমূল্য
যা আছে তার থেকে কিছু বেশি নিতে পারে । এমনকি কিছু হকার আপনাকে বলবে যে
চিড়িয়াখানার ভিতরে কোন কিছু পাবেন না যদিও পান তাহলে অনেক মূল্য।
National zoo bd |
তবে আমি যখন ২০২০ সালে ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম তখন
ভিতরে খাবারের দোকান পেয়েছি বেশি মূল্য আমাকে বহন করতে হয়নি। সবচাইতে ভালো হয়
আপনি চিড়িয়াখানা সামনে যে সমস্ত দোকান রয়েছে এখান থেকে কিছু কেনা চেয়ে সবচাইতে
ভালো হবে, যখন আপনি চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তখনই আপনি আপনার খাবার কিনে
নিয়ে যাবেন।
Dhaka Chiriakhana Bangladesh |
চিড়িয়াখানার ভিতরে রয়েছে একটি জামে মসজিদ আপনার নামাযের
সময় হলে চিড়িয়াখানার ভিতরে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন সেই মসজিদের ভিতরে
। তাছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মসজিদের চারপাশে
রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি।
Dhaka zoo |
চিড়িয়াখানার প্রথম যারা যাবেন বিশেষ করে যারা নতুন কখনো
ঢাকা চিড়িয়াখানায় যাননি, চিড়িয়াখানা ঢুকে আপনারা প্রথমে সোজা যাবেন। দেখবেন
রাস্তার পাশে বড় একটি ম্যাপ রয়েছে।
Bangladesh zoo Map |
সেই ম্যাপ থেকে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পেতে
পারেন। ম্যাপের কিছুদূরে পাশেই রয়েছে বানরের খাঁচা। তবে একটি কথা মনে রাখবেন
চিড়িয়াখানার ভিতরে দূরত্ব বজায় চলার চেষ্টা করবেন এমনকি কখনো খাঁচার কাছে গিয়ে
হাত বাড়িয়ে প্রাণীকে স্পর্শ করার চেষ্টা না করাই সবচাইতে ভালো।
মিরপুর চিড়িয়াখানা ঢাকা |
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা রয়েছে বিরল প্রজাতির বড় ছোট
মিলিয়ে বিভিন্ন জীব জানোয়ার । বর্তমানে ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রায় ১৯১ প্রজাতির ২১৫০
টির মতো প্রাণী আছে। চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকলে বোঝা যায় সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা পাখিদের কলকাকলিতে মুখর,
পুশুপাখিদের বিচিত্র সুন্দর ডাক।
চিড়িয়াখানা |
চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রধান আকর্ষণ হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
এছাড়াও রয়েছে নানান রকমের দেশি-বিদেশি হরেক রকমের পাখি।চিড়িয়াখানার মূল ফটকের
বাঁ পাশে রয়েছে চিত্রা হরিণের বেষ্টনী ।
, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা |
হরিণ দেখার জন্য যখন দর্শনার্থীরা কাছে গিয়ে ভিড় জমায়,
হরিণরা খানিকটা তাকিয়ে দর্শনার্থীদের দেখে এবং মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘাস
লতাপাতা মুখে দিয়ে দিবে খায়। শত শতহরিণগুলোর গায়ে গাঢ় বাদামি রঙের ওপর সাদা সাদা
ফোঁটা। বাঘ-সিংহ যদি সজাগ থাকে তাহলে কিছুক্ষণ পর পর
সিংহের গর্জন শুনতে পাবেন।
, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা |
আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে চিড়িয়াখানার ভিতরে রয়েছে প্রাণীর
একটি জাদুঘর। আমি যখন প্রথম ২০১০ সালে প্রাণীর জাদুঘর দেখতে গিয়েছিলাম তখন তার
টিকেট ছিল দুই টাকা করে বর্তমানে এক টিকেট মূল্য দশ টাকা।
Dhaka chiriakhana |
প্রাণির জাদুঘর রয়েছে হাজার বছরে পুরনো কচ্ছপ, ডলফিন বিভিন্ন
প্রাণীর কঙ্কাল এছাড়াও নানা প্রজাতির সাপ ও অন্যান্য প্রাণী কঙ্কাল । প্রাণীর
জাদুঘরের সামনে রয়েছে বিশাল আকারের একটি তিমির কঙ্কাল।
Dhaka chiriakhana |
ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু
সবকয়টিরনাম বলে শেষ করা যাবে না। যেমন যেসব প্রাণী রয়েছে জেব্রা, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ,
রেসাস বানর, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এশীয় সিংহ, চিতা বাঘ, কালো ভাল্লুক,সজারু, লোনা
পানির কুমির, সংকনী সাপ, গোখরা সাপ, মদন টাক, ময়না, টিয়া, বক, ময়ূর, চিল, শকুন,
শালিক, টিয়া, এমু পাখি, উটপাখি, কানি বক, গো-বক, সাদা ময়ূর, ফ্লামিংগো, সিংহ,
হাতি, ঘোড়া, গরু, জলহস্তি, গন্ডার, হরিণ, বনরুই, কাও ধনেশ, গোল্ড ফিস, চিতল ফিস,
ফালি ফিস, ভাল্লুক, বানর, সিম্পাঞ্জি, জিরাফ, উল্লুক, অজগর, কুমির, সবুজ কেড়া সাপ,
সবুজ কচ্ছপ,তিমির কঙ্কাল, ডলফিন এবং সৌল ফিস অন্যতম।অতিথি পাখি ও মাছের জন্য ২টি
লেক রয়েছে।
Dhaka chiriakhana |
চিড়িয়াখানার ভিতরে যে পিকনিক স্পট রয়েছে এটি প্রথমবার যখন
গিয়েছিলাম তখনো অনেকটা জমজমাট ছিল কিন্তু বর্তমানে তেমনটি নেই। এছাড়া প্রথমবার
যখন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য একটি পার্ক
দেখেছিলাম কিন্তু বর্তমানে পার্কটি বেহাল অবস্থা। চিড়িয়াখানার ভিতরে টয়লেট
ব্যবস্থা রয়েছে । প্রধান ফটকের ভেতরে পুরুষের জন্য ৫টি টয়লেট রয়েছে এবং নারীর জন্য ৭টি টয়লেট রয়েছে। তবে এই টয়লেট কেউ বিনা টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন না।
আপনাকে টয়লেট ব্যবহারে করতে হলে খরচ পুরুষ জনপ্রতি ৫ টাকা এবং মহিলা
জনপ্রতি দশ টাকা।
Dhaka chiriakhana |
বাংলাদেশে সরকারি চিড়িয়াখানার সংখ্যা উইকিপিডিয়ার হিসাব মতে ১০টি। এই দশটি চিড়িয়াখানায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে। বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা গুলো যেমন- কুমিল্লা চিড়িয়াখানা, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, খুলনা চিড়িয়াখানা, রংপুর চিড়িয়াখানা, গাজীপুর বরেন্দ্র পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, নিঝুমদ্বীপ পার্ক,শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা।
Dead Animal Museum |
বাংলাদেশের যে সমস্ত চিড়িয়াখানা রয়েছে ,সেই সমস্ত
চিড়িয়াখানা গুলো কতটুকু আধুনিকরণ হয়েছে তা হয়তো বলতে পারব না । তবে ঢাকা
জাতীয় চিড়িয়াখানা এখনো ভালোভাবে আধুনিকরণ হয়ে ওঠেনি। চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখলাম অনেক পশুর কাঁচা এখনও
খালি রয়েছে ।প্রথম যখন ২০১০ সালে গেছিলাম তখন যেন পরিপূর্ণ ছিল চিড়িয়াখানা।
Dhaka Mirpur chiriakhana |
সবচাইতে বেশি খারাপ লেগেছে বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য
চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে একটি শিশু পার্ক রয়েছে কিন্তু সেই শিশুপার্কটি অবহেলিত
হয়ে আছে। সেখানে গোটাকয়েক শিশুদের জন্য দোলনা রয়েছে সেই দোলনা গুলোও বেহাল
অবস্থা। শিশু দর্শনার্থীদের তুলনায় সেখানে দোলনার সংখ্যা কম ।অপেক্ষাকৃত বড়
শিশুরা ছাড়া অন্যরা ব্যবহার করতে পারছিল না। প্রত্যেকটি খেলনার চারিদিকে অপেক্ষা
করছে অনেক খেলনা ব্যবহারকারী তাদের মনে অনেকটা অস্বস্তিকর রয়েছে।
Dhaka Mirpur chiriakhana |
চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে শিশুদের বিষয়টি মাথায়
রেখে শিশুদের জন্য যা কিছু রয়েছে সেখানে ব্যবস্থা করতে পারত। কিন্তু আদৌ হবে কিনা
সেটাই সন্দেহ।
Dhaka Mirpur chiriakhana |
সর্বশেষ একটি কথা বলব ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুবই একটি সুন্দর
জায়গা বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। আপনারা ঘুরে আসতে পারে সেখান থেকে, তবে যদি আপনারা পশুপাখির বা জীবজন্তুর আনন্দ
উপভোগ করতে চান, তাহলে আমি আপনাদেরকে বলবো সরকারি ছুটির দিন ছাড়া যাওয়ার চেষ্টা
করবেন। তাহলে আনন্দের সহিত সব কয়টি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। কারণ হচ্ছে সরকারি ছুটির দিনে ঢাকা চিড়িয়াখানা
দর্শনার্থীর প্রচণ্ড ভিড় থাকে সেই জন্য সুন্দর ভাবে ঘুরে ফিরে দেখতে পারবেন না ।
মিরপুর Zoo |
ধন্যবাদ ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনা করছি ! আল্লাহ হাফেজ!
কোন মন্তব্য নেই