ওয়েবসাইট ও ব্লগে ফ্রি ভিজিটর How to increase website traffic for free
how to get free website traffic |
আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করি তখন প্রথম আমরা
চিন্তা করি যে কীভাবে আমাদের ব্লগ সাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়। আজকে সেই
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ব্লগ সাইটের এসইও Search Engine Optimization এর কোন বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে SEO Search Engine Optimization করতে পারি বা ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করি ব্যাকলিংক তৈরী করে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারি তাহলে আমাদের ভিজিটর অনেক বেড়ে যাবে।
আমরা যখন কোন একটি পোস্ট আমাদের ব্লগ সাইটে বা ওয়েবসাইটে
পাবলিস্ট করবো তখন আমাদের নজর দিতে হবে যে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে ভিজিটর কি
পাচ্ছে। কারণ একজন ভিজিটর যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে আপনার ওয়েবসাইটে যদি
তথ্যবহুল আর্টিকেল না পায় তখন কিন্তু ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বেশি করে গেস্ট ব্লগিং করতে হবে। গেস্ট পোস্টিং বা গেস্ট ব্লগিং সহজ ভাষায় আমরা যেটা বুঝি অন্য সাইটে আমাদের আর্টিকেল লিখতে হবে। গেস্ট ব্লগিং বা গেস্ট পোস্ট হচ্ছে একটা অত্যন্ত কার্যকরী ব্লগিং এবং বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে বিশেষ করে ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমি কিভাবে গেস্ট পোস্ট করতে পারি ? গেস্ট ব্লগিং করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সাইটে ভিজিট করতে হবে বিশেষ করে বড় বড় যে সাইট গুলি রয়েছে সেই সাইটগুলিতে আপনাকে পোস্ট করতে হবে ।বিভিন্ন ধরণের হাই ডোমেইন অথরিটি অনলেইনে খুঁজে বের করতে হবে যা কিনা আপনাকে গেস্ট পোস্ট করার সুযোগ প্রদান করবে সেই সাথে আপনাকে লিংক শেয়ার করার সুযোগ দিবে ।
কিভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট
এর মধ্যে সবচাইতে বড় সাইট হচ্ছে ফেইসবুক গ্রুপ। ফেসবুকে হাজার হাজার ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। আপনি
ইচ্ছা করলে সেই গ্রুপে পোস্ট করে বা আপনার ওয়েব সাইটের লিংকটি শেয়ার করে ভিজিটর
বাড়াতে পারেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি সেই সমস্ত গ্রুপে পোস্ট
করার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রুপের মডারেশন বা অ্যাডমিন আপনার লিংকটি পাবলিস্ট করবে সেটা কিন্তু নয়, এমনও
হতে পারে তারা আপনার ওয়েব সাইটের লিংকটি এপ্রুভ নাও করতে পারে।
সেজন্য আপনি যা করবেন আপনি সেই
সমস্ত গ্রুপের এডমিন এবং মডারেটর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে দিতে পারেন, তাতে করে
হবে কি আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি প্রমোট করতে পারবেন সেই সমস্ত ফেসবুক গ্রুপে।
এছাড়াও আপনি চেষ্টা করবেন ফেসবুক গ্রুপ নিজের তৈরি করে এডমিন
হওয়ার জন্য সেই সাথে কিছু পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠ লোকদের আপনি এডমিট করতে পারেন সে
সমস্ত গ্রুপের মাঝে।
ওয়েবসাইটের কমেন্ট লিস্টের উত্তর
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পারবেন, সেই
সমস্ত ওয়েবসাইটে অনেকই পোস্ট করে কিন্তু পোস্টদাতা বিশেষ করে যারা বড় ধরনের আর্টিকেল লিখে তারা অনেকই কোন পোস্টে উত্তর দেয়না। ইউটিউব
এর মাধ্যমে বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে তারা কিন্তু উত্তর দেয় না অনেকেই প্রশ্ন করে
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিন্তু সেগুলোর প্রশ্ননের দেওয়ার সুযোগ পায় না তারা।
আপনি ইচ্ছে করলে সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাদের প্রশ্নের ছোট হোক বা বড় হোক সুন্দর করে উত্তর দিয়ে
সেখানে আপনার ব্লগের লিঙ্ক টা শেয়ার করে আসতে পারেন। লিংক দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
সতর্কতা অবলম্বন করুন। আপনি সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে ঘুরতে আসার জন্য কাউকে আহ্বান
জানাবেন না। সেখানে আপনি মাথা খাটিয়ে সুন্দর করে একটি কমেন্ট করবেন
এমন ভাবে , যে
আমার ওয়েবসাইটে ঘুরে আসুন’’ টাইপ কথা না লিখে ‘’ বিস্তারিত
জানুন’ লিখতে পারে কারণ হচ্ছে স্প্যাম করা থেকে বহু দূরে থাকবেন।
আকর্ষনীয় ছবি শেয়ার
ফটো বা ইমেজ যাই বলেন না কেন , এটি একটি
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনার
ওয়েবসাইটের সুন্দর ছবি পোস্ট করবেন যাতে মানুষকে আকৃষ্ট করে আপনার এই ছবিটি। ছবি
পোস্ট করার আগে অবশ্যই আপনার নজর রাখতে হবে ছবি গুলো যেন অফ পেইজ SEO থাকে।
অফ পেজ এসইও মানে হচ্ছে যেকোনো ওয়েবসাইটের ট্রাফিক
অনেকটা বৃদ্ধি করে তোলে। অফ পেজ এসইও কি? অফপেজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ
উপায়গুলো নিয়ে আগামীতে আমি পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচু পর্বতমালা Highest mountains in the world
আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে বা অন্যান্য প্লাটফর্মে পোস্টটি
শেয়ার করবেন সেই সাথে লিংক শেয়ার করবেন তখন সুন্দর ছবিটি সবার চোখে ভেসে উঠবে ।
যখন কেউ এসেছে এই লিংকে ক্লিক করবে, ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটে চলে
আসবে ভিজিটর।
হাইপার লিংক বা ইন্টানাল লিংক বৃদ্ধি করা
হাইপারলিংক বা ইন্টারনাল লিংক আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক।
একটি উদাহরণ দেই, বেশ কিছুদিন আগে আমার এই ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল লিখেছি ।
আর্টিকেলের বিষয়টি হচ্ছে- পৃথিবীর সবচাইতে বড় বড় পর্বত গুলি নিয়ে। যেমন-
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বত কোনটি ? পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বত
কোনটি ? পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত কোনটি ? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম পর্বত
কোনটি? এই গুলি নিয়ে আর্টিকেল লিখেছি।এর টাইটেলটি ট্যাগ করে দিয়েছি
দেখুন।
আপনিও চাইলে এভাবে আপনার পূর্বের পোস্টে লিঙ্ক গুলো
মাঝে মাঝে ট্যাগ করে দিতে পারেন এতে করে আপনার ভিজিটর যখন ক্লিক করবেন তখন আপনার
পূর্বে যে পোষ্টগুলোতে অটোমেটিকলি চলে যাবে।
ইউনিক কনটেন্ট প্রকাশ
ইউনিক পোস্ট এর কোন বিকল্প নেই সেই জন্য রেগুলার ইউনিক পোস্ট
করতে হবে। তাছাড়া একই কনটেন্ট অন্য জায়গায় পড়ে ফেললে কেউ আপনার সাইটে এসে সেটি
পড়বে না। তাই নিয়মিত ভিজিটর পেতে ইউনিক কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে।
ডাটা এনালাইসিস করা
ওয়েবসাইটের ডাটা এনালাইসিস করেও আপনি ভিজিটর সম্পর্কে বুঝতে
পারবেন । একজন ওয়েবসাইটের অথুরিটি হিসেবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো আপনার
ওয়েবসাইটের ডাটা এনালাইসিস করতে হবে। করার কারনে আপনি বুঝতে পারবেন যে
আপনার ওয়েবসাইটের কোন তারিখে কোন সময়ে কোন বয়সে ভিজিটর বেশি প্রবেশ করছে। সেই
থেকে ধারণা নিয়ে আপনি নতুন নতুন পোস্ট করতে পারবেন তাদের চাহিদা কি সেই বিষয়টিও
আপনি ডাটা এনালাইসিস মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
ব্লগ বা ওয়েব ওয়েবসাইট
কমেন্ট অপশন
ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যদি কমেন্ট অপশন থাকে
তাহলে ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় হতে পারে গুগলের কাছে।
ওয়েবসাইটে যত বেশি কমেন্ট করবে তত বেশি গুগোল এটাকে গুরুত্ব দিবে তাছাড়া
ভিজিটর যখন আসবে আপনার সাইটে তখন অনেক বিষয় জানতে চাইবে আপনি সেই বিষয়গুলো
লক্ষ্য করে তাদেরকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে অটো
কমেন্ট যাতে এপ্রুভ না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
সার্চ ইঞ্জিন সাবমিট
প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন সাবমিট করতে হবে যেমন ধরুন- গুগল , বিং ,ইয়াহু এর মতন বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে । এই ধরনের যতগুলি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে প্রত্যেকটি আপনার সাবমিট করতে হবে এতে করে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে । আমি বেশিরভাগ অনেককে দেখেছি সবাই শুধু গুগলে সাবমিট করে বসে আছে কিন্তু গুগোল ছাড়াও আরো অনেক সাইট রয়েছে সেগুলোর দিকে অনেকেই তেমন একটা মনোযোগ নেই।
ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে
হবে সেইসাথে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন কোন ত্রুটি বিচ্যুতি আপনার সাইটে রয়েছে
সেই বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে দাঁড় করাতে হলে বিভিন্ন ধরনের এসইও টিউটোরিয়াল ব্লগ বা ইউটিউব থেকে দেখতে পারেন। আমি অনেককে দেখেছি প্রথম অবস্থা ব্লগিং করতে আসে অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারপর আউটসোসিংয়ের কাজ করবে কিন্তু তারা সফল হতে পারেনা । উদ্দেশ্য একটাই তাদের ধৈর্য শক্তি কম।
অনলাইনে আউটসোসিং করতে হলে অনেক ধৈর্যশক্তি থাকতে হবে।
প্রত্যেকটা বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ,অভিজ্ঞতা যদি না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে
কিছুই করতে পারবেন । এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, অভিজ্ঞতা হবে কিভাবে , অভিজ্ঞতা
আজকে হয়নি কালকে হবে , সেইজন্য বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ব্লগ বা ইউটিউব থেকে দেখতে পারেন। আপনি
ইচ্ছা করলে হঠাৎ করে একজন বড় ইউটিউবার বা ব্লগার হতে পারবেন না সেজন্য আপনাকে
অনেক
প্রহর গুনতে হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover
এই
পোস্টটিতে
আমি জানিনা আপনারা কতটুকু বুঝাতে পেরেছি, আমি কিভাবে আপনাদেরকে বুঝিয়েছি কতটুকুই বা
বোঝাতে পেরেছি সেই বিষয়টি আপনাদের উপর নির্ভর করছে। তবে আমি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন
তথ্য সংযুক্ত করে এখানে আপনাদের বোঝানোর জন্য । যেহেতু এটি অনেক লম্বা একটি লেখা
লিখতে হয়েছে , অনেক সময় ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে সেই জন্য সকলের কাছে ক্ষমা
প্রার্থী । আমি চেষ্টা করেছি সঠিক বিষয়গুলো
উপস্থাপন করার জন্য।
Nice
উত্তরমুছুনআর্টিকেলটি খুব সুন্দর লেখেছেন। অনেকে উপকৃত হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ। বন্ধুরা আরো জানতে চাইলে দেখুন www.ictcorner.com/blog/
উত্তরমুছুনঅনেক সুন্দর লেখা উপকৃত হলাম
উত্তরমুছুনআরো জানতে দেখুন khedapara.blogspot.com
উত্তরমুছুন