অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়, How to earn money online
কিভাবে বেকারত্ব অভিশাপ থেকে মুক্তি
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে
আপনারা সকলেই ভাল আছেন । আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা করবো, আশা করি সেই আলোচনা
আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা যারা পড়াশোনা শেষ করে বেকারত্ব অভিশাপ মাথায় নিয়ে ঘোরাফেরা
করছি অথবা যারা এখনো পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু এখন আমরা কিছুই
করতে পারছি না। অনেক সময় ভাবি কি দিয়ে শুরু করবো ? কোন কাজটা দিয়ে শুরু করবো ? এই
সমস্ত চিন্তাভাবনায় এখনো চিন্তিত অবস্থায় রয়েছি। সেই সমস্ত মানুষদের জন্য আজকে কিছু
বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
আমাদের দেশে এমন অনেক স্টুডেন্ট
রয়েছে যারা কিনা এখন পর্যন্ত পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোনো একটি বিষয়ের উপর নিয়ে কর্ম করে যাচ্ছে,
আবার এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা কিনা পড়াশোনা শেষ করেছে কিন্তু এখনও বেকারত্ব অভিশাপ মাথার উপর চেপে বসেছে ।
পড়াশোনা শেষ করার পর যখন একটি
চাকরির জন্য রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে বিভিন্ন অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হচ্ছে, মামা
কালু ওদের ফোন করে বিরক্ত করা হচ্ছে শুধু একটি চাকরি পাওয়ার জন্য কিন্তু না কোথাও
কোনো সমাধান পেলেন না। এতে করে আপনার মানসিক চাপ আরো বেড়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি
কি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ আপনি অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন আপনি কেন
মানুষের পিছনে এত ঘোরাফেরা করবেন চাকরির পিছনে কেন ধরবেন। আপনি কি পারেন না আপনার মেধা
শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে?
আপনি যদি এতটা বছর পড়াশোনার পিছনে সময় ব্যয় করতে পারেন তাহলে বেকারত্ব অভিশাপ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সেটার পিছনে কেন সময় ব্যয় করতে পারবেন না? চেষ্টা করলে উপায় হয় । কিন্তু আমারা মাঝে মাঝে ভাবি একটি হয়ে যায় আরেকটি ঠিক তখনই মনের মাঝে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা চলে আসে যা কারো সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
আমার আপনার সবার জীবনে এটি এক কমন ব্যাপার, একবার বাসা থেকে টাকা নিয়ে ভাবি এই মাসের মধ্যে একটা টিউশনি ম্যানেজ করব কিন্তু বর্তমান বাজারে চাকরি থেকে টিউশনি টা যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। কোনভাবেই ম্যানেজ করা হয়ে ওঠে না ,তাই না ? আর এভাবেই পরের মাসের টাকা নেওয়ার সময় চলে আসেন , আজ আমরা এমন তিনটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করব যে পাঁচটি কাজ করলে আপনি ছাত্র জীবনে শুধু পকেট খরচ না বাসার খরচটাও চালাতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover
আপনি যখন ছাত্র তখন আপনার মধ্যে অবশ্যই দুটো গুনাগুন আছে শক্তি এবং কর্মদক্ষতার কিন্তু সেই জিনিসটা লিমিটেশন যেটা হলো টাকা আজ আমাদের তিনটা ইফেক্টিভ সমাধান নিয়ে কথা বলব যেগুলো আপনি নো ইনভেষ্টমেন্ট ,শূন্য হতে শুরু করতে পারবেন চলুন শুরু করি ।
নাম্বার ওয়ান ইউটিউব বর্তমান বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ভিডিও প্লাটফর্ম আপনি সমাধান এর ভিডিও দেখছেন তার মানে আপনি এই ভিডিও আপনার কি কখনো চিন্তা হয়েছে ভিডিও দেখার সময় আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপ স্ক্রিন যেগুলো করছ সেগুলো কারণ কি কিভাবে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলো দেখতে হচ্ছে ?
এখানে আপনার সমাধান লুকিয়ে আছে ইউটিউব ওপেন প্লাটফর্ম যাদের নিজস্ব কোন কন্টাক্ট নেই, সারা বিশ্বে অসংখ্য ভিডিও ক্রিয়েটার ভিডিওগুলো আপলোড করে থাকে। যে ভিডিতে ইউটিউব বিজ্ঞাপন বসাছে।আর বিজ্ঞাপনদাতা যে টাকা ইউটিউবকে প্রদান করছে সেটার একটা অংশ ইউটিউব ভিডিও ক্রিয়েটারদের দিয়ে দিচ্ছি, আপনাকে ভিডিও ক্রিয়েটার হওয়ার কথাই বলছি।
এখন প্রশ্ন তুলতে পারেন যে আমি যদি ইউটিউবিং করতে চাই তাহলে আমার কি কি জিনিস প্রয়োজন হতে পারে। না জাস্ট একটা মোবাইল বা ল্যাপটপ ইন্টারনেট কানেকশন হতে পারেন, হতে পারে সেটা ব্রডব্যান্ড অথবা মোবাইল ডাটা । ইউটিউব এর ওয়েবসাইটে ঢুকে একটি ইউটিউবে চ্যানেল ক্রিয়েট করে নিবেন। আপনি যদি না জানেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয় তাহলে ইউটিউবের র্সাচ বক্সে লিখুন How to create youtube channal তারপর বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও পেয়ে যাবেন ।
তার ওপরে এবার আপনার ভিডিও আপলোড করার পালা। আপনি কি ধরনের ভিডিও আপলোড করবেন এখন হয়তো আপনি তাই ভাবছেন, হ্যা সেটা আপনাকেই নিয়ে চিন্তা করে বের করতে হবে। যে কাজটা আপনিই করতে ভালবাসেন সেটা হতেই হতে পারে আপনার ভিডিওর বিষয় উদাহরণ ধরুণ আপনি ভ্রমন করতে ভালোবাসেন ,তাহলে যেখানে যাবেন মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে পরো জার্নিটা ভিডিও করতে পারেন । ট্রাভেল ব্লগ নামে পরিচিত এবং ইউটিউবে এটা ভীষণ জনপ্রিয় । এছাড়াও আপনি যদি ভালো মিউজিক করেন সেটার উপর ভিডিও আপলোড করেও জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারেন ।এমনকি বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছোট ছোট শর্টফিম্ম বানাতে পারেন।
স্ক্রিন রেকর্ড করে মোবাইল এবং ল্যাপটপ যেকোন সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সবথেকে বড় বিষয় হলো , যে বিষয় নিয়ে আপনি ভিডিও বানান না কেন সেটার উপর আপনার অগাধ ভালোবাসা এবং ভাললাগা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি ইউটিউব Success । ভিডিও আপলোড করা শেষ। আস্তে আস্তে ভিউ বাড়বে, সাবস্ক্রাইবার বাড়বে, তখন ভিডিওতে বিজ্ঞাপন শো করবে যা মাধ্যেমে আপনার উপার্জন আসতে আসতে বাড়তে থাকবে।
এই বিষয়ে গুগোল করে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। আমি শুধু কিছুটা রাস্তা আপনাকে দেখিয়ে দিলাম । তারপর মাসে 20000 টাকা থেকে শুরু করে চার লাখ টাকাও উপার্জন করতে পারবেন ইউটিউবিং করে।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো মুক্ত পেশা
। আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। আপনার কোন বস বা স্যার থাকবে না, নিজের ইচ্ছামত
কাজ করবেন আপনার কাজ করতে ইচ্ছা করলে করবেন নয়তো করবেন না । কেউ আপনাকে কিছু বলতে
আসবেনা সারাদিন ঘুমাবেন রাতে কাজ করে ক্লাইনকে সাবমিট করবেন। এটার নামই ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক রকম প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তার মধ্যে upwork.com Fiverr.com freelancer.com এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলি
বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় । এ ছাড়াও অনলাইনে আরও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে।
ক্লায়েন্টরা এইসব এসব প্লাটফর্মে ওয়েবসাইটে তাদের জবগুলো সবসময় পোস্ট করে থাকে আর আপনি বিট করার মাধ্যমে কাজ গুলো পেতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয় অবশ্যই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে আপনাকে কাজে পাওয়ার জন্য এপ্লাই করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ,কাজগুলো করতে যেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় আবার কিছু কিছু কাজ আছে যা আপনি মাউস ধরার শিখলেই করতে পারবেন অনায়াসেই।যেমন কপিরাইটিং, ডাটা এন্ট্রি এমনকি আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিংও হতে পারে আপনার কাছের ইনকামের পথ যেখানে আপনার অফিসের বস আপনি নিজেই ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ধরুণ আপনার
বন্ধুর একটা কোম্পানি আছে তিনি আপনাকে অফার করলেন বিক্রি বাড়ানোর জন্য মানুষকে তার
পণ্যগুলো সম্পর্কে জানাতে এবং গুণাগুণ তুলে ধরতে।
এতে করে যে পন্যটি আপনার রেফারেন্স বিক্রি হবে আপনার বন্ধু সেই পণ্যের
মূল্যের উপর 10% টাকা আপনাকে দিবে। এতেকরে কি হলো ? আপনারা বিক্রি সেইসাথে বাড়তি কিছু টাকা আসতে থাকলো
জাস্ট মানুষকে রেফার করে । এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ।
বিশ্বের বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রডাক্টিভ অনেক বড় একটা অংশ যেমন অ্যামাজন আলিবাবা অনলাইন মার্কেটে বিক্রি করে থাকে। প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে যদিও আমাদের দেশে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট অনেক জনপ্রিয়।
সিম্পল ভাবে amazon.com থেকে প্রোগ্রামার হিসেবে সাইন আপ করে নিন।
তারপর যে পন্যরে মার্কেটিং করবেন সেই লিংকটা ফেসবুক প্রোফাইল, ইনস্টাগ্রম, টুইটার কিংবা
ওয়েবসাইটের ছড়িয়ে দিন । আপনার বন্ধুদের কাছে যত বেশি আপনার শেয়ার করা লিংক রিচ
করবে , আপনার মার্কেটিং করা পণ্য বিক্রির চান্স ততই বাড়বে ।
আর বুঝতেই পারছেন আপনার লিংকের মাধ্যমে বিক্রি যে হারে বাড়বে আপনার ইনকাম সেই হারে বাড়বে । আমাদের দেশে এমন অনেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেট রয়েছে তাদের মাসিক ইনকাম তিন লাখ টাকারও বেশি । এই তিনটি বিষয় নিয়ে আরও রিচার্জ করুন অনেক ,গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন। ধৈর্য আর মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখুন । আপনিও আর টাকার জন্য কারও আশায় বসে থাকবেন না ।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার বিষয়টি অনেক সহজ মনে হয়েছে এই প্রতিবেদনটিতে। তবে বেকার থেকে রক্ষা পাওয়া একমাত্র এই প্রতিবেদনটিতে। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন