Header Ads

Header ADS

টাকা জমানোর উপায় How to save money

 

টাকা জমানোর সহজ কৌশল ।

 

টাকা জমানোর আইডিয়া

একজন চাকরিজীবী সারা মাস চাকরি করার পর মাস শেষে যখন হাতে বেতন চলে আসে, তখন সেই টাকাটা দিয়ে সংসারিক হিসাবটা অনেকেই করতে থাবে। অনেকেই সংসারের হিসাব করে বছর শেষে আয় করতে পারে না এটা একজন চাকরিজীবীর জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।

 

 একজন ব্যবসায়ী ব্যবসা করার পর মাস শেষে কিছু টাকা আয় করতে পারে । আবার কিছু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মাসে আয় করবে তো দূরের কথা আসল টাকাটার হিসাবটাই মিলাতে পারেনা। কিন্তু কেন এই সমস্ত হচ্ছে এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? যখন এই ধরণে মানুষগুলো হিসাব-নিকাশ মিলাতে না পারে ঠিক তখন তার  হতাশা এবং মানসিক প্রেসারে অনেক কিছু করে ফেলে । 

  ওয়েবসাইট সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর , website related questions

 আজকে আমরা জানবো কিভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু আয় ব্যয় হয় সেইসব থেকে কিভাবে সঞ্চয় করতে পারি। সেই বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।

 

কিভাবে টাকা পয়সা জমানো যায়

 আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো  টাকা জমানো কিছু উপায়। আমরা যদি প্রতিদিনের খুচরা টাকা গুলো জমিয়ে রাখতে পারি তাহলে মাস শেষে বেশ বড় একটা অংকের টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন । দেখতে দেখতে মাস প্রায় শেষের দিকে চলে আসলো, এমনকি শেষ হতে চলেছে এই বছরটা । পুরো একটি বছর ধরে আপনি নিজে আনুমানিক কত টাকা জমিয়েছেন ? এখন আপনি এই প্রশ্নটা পড়ে যদি বিভ্রান্ত বোধ না করে আপনি একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখুন তো । হোক নিজের স্বল্প আয়ের  কিন্তু সেখান থেকে কত টাকা আপনি সঞ্চয় করতে পেরেছেন ? 

  অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover


 হিসেবের খাতায় যদি শুধু শূন্যের অবস্থা বিরাজ করে তবে এই মুহূর্ত থেকে সচেতন হতে হবে আপনাকে । শুধুমাত্র আয় করা হিসাবই কিন্তু যথেষ্ট নয় আপনার ব্যয় হিসাবও সবসময় ঠিক রাখতে হবে।এবং সঞ্চয়ের খাতও করতে হবে ভারী । টাকা জমানোর তেমন অভিজ্ঞতা নেই বলে আপনি কি হিমশিম খাচ্ছেন যে কিভাবে টাকা জমানো শুরু করবেন ? আমি মনেকরি এটা কোন চিন্তায় । খুব সহজেই কিছু উপায় মেনে চলতে পারলে এবং বাজেট করে টাকা খরচ করলে টাকা জমানো কোন কঠিন ব্যাপার নয় । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক টাকা জমানোর সহজ কিছু উপায় ।

 

প্রথমে নিজের ব্যয়ের একটি বাজেট তৈরি করুন যা নিজের টাকা ব্যয় করছেন সেই ব্যয়ের একটি বাজেট তৈরি করে ফেলুন। যে মাস থেকে শুরু করতে চাচ্ছেন সেই মাসের শুরুতেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কাটা তালিকাটি করে রেখেদিন । শুধু প্রথম দিনের তাই নয় পুরো মাসেরটা এই ভাবে একসাথে জমিয়ে ফেলুন। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, জামা কিনতে গেলে, দরকারি জিনিসপত্র কিনতে গেলে,সব জায়গায়র খরচের তালিকাগুলো জমিয়ে রেখেছে সেগুলো নিয়ে বসুন । এরপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন খাতে কত বেশি বা কম খরচ হয়েছে সে হিসেব করে পরের মাসের বাজেট টা ঠিক করে ফেলুন

    কিভাবে Youtube থেকে টাকা আয় করবেন

 আপনি আলাদা খামে খরচের টাকা গুছিয়ে রাখুন । সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ কি জানেন ? আপনি যদি মাসের শুরুতে একটা আলাদা খামে খরচের টাকাটা গুছিয়ে রাখেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় । প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন খাতের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খামে টাকা রাখুন । যেমন দরকারি জিনিসপত্র কেনার জন্য আলাদা একটি খাম, বই কেনার জন্য আলাদা খাম, যদি কোন খামের টাকা শেষ হয়ে গেল সেই মাসের জন্য সেটা আপনার বাজেট এর বাইরে আর খরচ করতে পারবেন না

 

 আপনি টাকা জমানোর জন্য ছোটখাটো পরিকল্পনা করুন। আপনি কিভাবে টাকা জমাবেন তার জন্য আপনাকে একটা পরিকল্পনা করতে হবে । টাকা জমানোর অভ্যাসটা খুব ছোটখাটো ভাবে শুরু করতে পারেন আপনি । মাসের প্রথমে আপনার আর একটা ছোট অংশ আলাদা করে রাখুন জমানোর জন্য এরপর প্রতিদিনের খরচ থেকে দশ,বিশ বা একশ এবং দুইশত টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করুন সেইসাথে একটা পুরো সপ্তাহ শেষে কত টাকা বাঁচলো সেটা হিসাব রাখুন, তারপর সেটার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সপ্তাহের জন্য টাকা বাঁচানোর পরিকল্পনা করুন। 

 

 আপনি যদি কোন চাকরিজীবী থাকেন তাহলে আপনাকে রিকোয়েস্ট করব বিভিন্ন সময়ে কর্মক্ষেত্র থেকে যেসব বোনাসের টাকা আপনাকে দেওয়া হয়, সেই সব বোনাসের টাকা সম্পূর্ণ টাকা খরচ করবেন না।  প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে বিভিন্ন অকেশন উপলক্ষে বোনাস দিয়ে থাকেন । সেইসাথে ভালো পারফরমেন্সের উপর দিয়ে থাকেন,যারা বোনাসের টাকা হাতে পেয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই খুশি হয়ে সকল টাকা একবারেই খরচ করে ফেলবেন না, ভবিষ্যৎ কাজের জন্য টাকা আলাদা করে জমানোর চেষ্টা করুন।

 অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover



খুচরা টাকা গুলো আলাদা করে রাখুন, খুচরা টাকা গুলো আলাদা করে জমানো চেষ্টা করুন।  দেখা যায় অনেক সময় বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে চা-বিস্কুট  কিংবা অন্য কিছু খেয়ে টাকা দেওয়ার পরে একগাদা খুচরো টাকা হাতে চলে আসে ।বাসে কিংবা রিক্সাতে যাতায়াতের সময় এখন বহু খুচরা টাকা জমে যায় হাতে। এই দুই, দশ, বিশ টাকার নোট গুলো কি করেন আপনি  কিন্তু নিজেও ঠিকমত বলতে পারবেন না। এই খুচরাটাকা গুলো আলাদা করে রেখে দিন কোন এক জায়গায় । মাস শেষে সবগুলো ভাংতি টাকা গুছিয়ে দেখুন কত টাকা জমিয়ে ফেলেছেন ।

 

চব্বিশ ঘন্টায় কত টাকা খরচ করবেন সেটা ঠিক করে নিন।চব্বিশ ঘন্টায় কত টাকা খরচ করছেন সেটা কি হিসেবে রাখছেন আপনি?  যদি না করেন তাহলে প্রতিদিনের জন্য ছোট্ট করে একটি বাজেট করে ফেলুন. প্রতিদিন কত টাকা খরচ করবেন এবং কোন কোন খাতে কত খরচ করবে সেটা ঠিক করে রাখুন। এবং সেই পরিমাণ অনুযায়ী খরচ করুন । মোটকথা একদিনের জন্য আপনি যত টাকা ঠিক করবেন ঠিক সেই পরিমাণ অথবা তার চেয়ে কম টাকা খরচ করবেন তার বেশি একটাকাও নয় ।

 

টাকা জমানোর উপায় কি 

আপনি নিশ্চয়ই ঘণ্টার হিসাব জানেন। ঘন্টা হিসাব করুন আপনার পারিশ্রমিক ধরুন আপনার একটি ব্যাগ খুব বেশি পছন্দ যার দাম লেখা রয়েছে পনেরশো টাকা এখন আপনি ঘন্টা হিসেবে আপনার পারিশ্রমিক বের করুন ।  ঘন্টা হিসেবে পারিশ্রমিক যদি একশত টাকা তবে আপনি হিসাব করেন এবং বিবেচনা করে দেখুন পনেরশো টাকা খরচ করে যে ব্যাক্তি আপনি কেনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সেটা আপনার পনেরো ঘন্টার পারিশ্রমিকের সমান মূল্য কিনা।

 প্রায় প্রতিটি মানুষই এখন প্রযুক্তির সঙ্গে মিশে গেছে বিশেষ করে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে।সেই প্রযুক্তির কিছু স্থান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে যেমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছি। আপনার অনলাইনে কেনাকাটার পেজ আনলাইক করুন । একটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটা আসলে খুব চমৎকার কাজে দেয় । অনেক সময় আমরা অনলাইনের পেজের সুন্দর জিনিসের ছবি দেখে এমন জিনিস অর্ডার করে ফেলে যা হয়তো আমাদের একেবারেই প্রয়োজন নেই খরচের হিসাবটা এভাবে বেড়ে যায় অনেক অনলাইনের কিছু পেজ আনলাইক এবং কেনা-বেচার কিছু গ্রুপে থেকে বাহিরে থাকুন। দিন শেষে আপনি নিজে লাভবান হবেন।


আপনি খরচ বিহীন একটা দিন কাটানোর চেষ্টা করুন । আপনার সব দিন না হোক মাসের পনেরো দিনের মধ্যে অন্তত একটা দিন খরচ না করে থাকার চেষ্টা করুন ।দেখবেন একদিনে কতগুলো টাকা বাঁচাতে পারবেন আপনি,  উত্তরটা যদি আপনার মনে একটু হলেও চিন্তার কোন ধরনের কারণ হয়ে যায়  তাহলে আগামী মাস থেকে পরিকল্পনা করুন সপ্তাহে একটা দিন বিনা খরচে কাটানোর জন্য । 

 অফিসে দুপুরের খাবারটা বাসা থেকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করুন । অফিসে দুপুরের খাবারটা হয়তো ক্যাটারিং সার্ভিস কিংবা বাইরে থেকে আনিয়ে খাচ্ছেন কিন্তু এর জন্য প্রতিদিন আপনার কত টাকা খরচ হচ্ছে খরচ হচ্ছে ,আমার মনে হয় একশত টাকা অথবা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।আর যদি একশত টাকা হয়ে থাকেন তাহলে মাসে প্রায় আড়াই হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি হয়ে যায় কিন্তু এই দুপুরের খাবারটা আপনি যদি একটু কষ্ট করে বাসা থেকে বানায় নিয়ে যান তবে আপনার খরচ কমে যাবে প্রায় অর্ধেক। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন বাসা থেকে দুপুরের খাবারটা সাথে করে নিয়ে যেতে। 

 এমনও মানুষ আছে যা প্রতিমাসে বাহিরে খাওয়ার ইচ্ছে জাগে এমনকি প্রতিমাসে বাহিরে খেয়েও থাকেন।প্রতি মাসে একবার করে বাইরে খাওয়া কমিয়ে আনুন, আপনারা অনেকে আছেন দেখা যাচ্ছে প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচবার বাহিরে খাচ্ছেন।হয়তো একাএকা অথবা পরিবারের সাথে ,বন্ধুদের সাথে কিংবা ভালোবাসার মানুষের সাথে আগামী মাস থেকে চেষ্টা করুন অন্তত একবার বাইরে কম খাওয়ার জন্য প্রতিবার বা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে প্রায় অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে যায়।তাই চেষ্টা করুন সেই সংখ্যাটা কমিয়ে আনার জন্য। 

জরুরি অবস্থার জন্য অর্থ সঞ্চয় করুন । জরুরী অবস্থার জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে পারলে সেটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য দারুণ কাজে আসবে। দেখা গেছে যে মধ্যম আয়ের পরিবার যারা জরুরি অবস্থার জন্য কম টাকা সঞ্চয় করেন তাদের থেকে কম টাকা আয় করা পরিবারের জরুরি অবস্থার জন্য বেশি টাকা সঞ্চয় করে রাখে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকে আপনার কষ্ট করে আয় করা টাকা অবশ্যই আপনি উপভোগ করবেন তবে বুঝেশুনে এবং হিসেব করে কারণ একদিন একটু কষ্ট করে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারলে দিনশেষে লাভবান হবেন আপনি ।

আপনার নিজের কোন প্রয়োজনে খুব জরুরী কোন দরকারে স্বাচ্ছন্দে খরচ করতে পারবেন জমানো টাকা থেকে নিজে তাই সুরক্ষিত একটা ভবিষ্যতের জন্য নিজের খরচ কে কমিয়ে আনুন ।

বিলাসিতা মানুষের জীবনকে আনন্দময় করে তোলে আবার অনেক মানুষের জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে চলে। অনেকেই হয়তো এই বিলাসিতার সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে দিয়ে যাচ্ছে । আমার এই কথাগুলো শোনার পর আপনার  ব্যক্তিগতভাবেও  সংজ্ঞা রয়েছে।  আপনার সংজ্ঞা এবং আমার ব্যক্তিগত সংজ্ঞা সঙ্গে একমত নাও হতে পারে, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সাংঘর্ষিক হতে পারে।

 কিন্তু আপনি একবার ভেবে দেখুন তো এত পরিশ্রমের পর আপনি কি করতে পেরেছেন?  কতটুকুই সঞ্চয় করতে পেরেছেন ? তবে হ্যা আপনি হয়তো সঞ্চয় করেছেন কিন্তু আপনার মত আরো অনেকেই রয়েছে তারা এখনো সেই বিষয়টি গড়ে তুলতে পারেনি। 

 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ভিজিট করতে হলে এখানে ক্লিক করুন


 আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করতে হলে এখানে ক্লিক করুন

 তাছাড়া আপনি যদি চান আপনার ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা কোন  ফেইসবুক গ্রুপ এবং আপনার কোন ব্লগসাইট প্রমোট করতে তাহলে এই addme.pagepromote গ্রুপটিতে আপনি ক্লিক করে আপনি আপনার চ্যানেল ফেসবুক পেইজ এবং আপনার ব্লগ সাইটটি প্রমোট করতে পারেন।  
ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকুন।

পুতুল আলতাব / Putul Altab

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.