Header Ads

Header ADS

কলা খাওয়ার উপকারিতা The benefits of bananas


প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা

সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ফল যার নাম হলো কলা । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কলা খুবই জনপ্রিয় । আমাদের বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয়  ফল কলা। সবচেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে জায়গা করেনিয়েছে। বিশেষ করে কলা সকল উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশগু লোতে বেশি কলা ভালো জন্মে। কলা নিয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মালানের মতে ভারতবর্ষ ও চীন কলার জন্মভুমি ।  একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হিল পাক এবং মালয়কে কলার উৎপত্তিস্থল বিশেষ বিবেচনা করেছেন। তবে কলাগাছ একটি বীরুৎ শ্রেণির একপ্রকার উদ্ভিদ।


কলার উপকারিতা কি কি


 বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল হিসাবে পরিচিত। অনেক বছর আগে থেকে আমাদের এই দেশ কলা চাষ করে আসছে দেশের অনেক মানুষ।  অনেকেই কলা চাষ করে জীবনের সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচাইতে যে সমস্ত জেলাগুলোতে কলা চাষ হয় , সেই সমস্ত জেলাগুলো হচ্ছে- ময়মনসিংহ, যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর,জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, এই সমস্ত জেলাগুলোতে সবচাইতে বেশি কলা চাষ করা হয়। এছাড়াও আরো  বিভিন্ন জেলা রয়েছে। কলা কে ১২ মাসের গুণী ফল নামে আমরা সকলেই জানি।  কারণ বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে।

 How to Transform a Photo into a Brick Wall Portrait


 ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলায় কলা চাষ করা হয় বিশেষ করে মধুপুর  উপজেলায় সাগর কলা বেশি চাষ করা হয়।  মধুপুর উপজেলায় কলার চারা রোপণ করা হয় , কলা চাষের রোপণ সময় কলার চারা গুলি বছরে তিন মৌসুমেই রোপণ করা যায়।যেমন মধ্য জানুয়ারী থেকে শুরু করে মধ্য মার্চ পযর্স্ত ।আবার মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে এবং মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর। 

 

কলার পুষ্টিগুণ,প্রতিদিন


বাংলাদেশের প্রায় চল্লিশটিরও অধিক জাতের কলা রয়েছে  । পাকা কলার জাতের মধ্যে বারি কলা-১, চাঁপা, কবরী অমৃতসাগর, সবরী, ও মেহেরসাগর অন্যতম। 

কাঁচকলা জাতের মধ্যে ভেড়ার ডগ, মন্দিরা, বিয়ের বাতি, কাপাসি, কাঁঠালী, চোয়ালপাউশ, বড়ভাগনে, বেহুলা, হাটহাজারী, আনাজী ইত্যাদি।

 

খাদ্যগুণ ,সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কলা খাওয়া আমাদের জন্য জরুরী, তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কলার অজানা কিছু উপকারিতা । বিভিন্ন তথ্য মতে 

  অনলাইনের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ online background remover

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় আছে অল্প ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮মি.গ্রা., আঁশ ০.৪%,শর্করা ৭.২%। এছাড়াও ফসফরাস ৫০মি.গ্রা.,১১৬ ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম ৮৫মি.গ্রা., আয়রন ০.৬মি.গ্রা. , পানি ৭০.১%, প্রোটিন ১.২%, খনিজ লবণ ০.৮%, ফ্যাট/চর্বি ০.৩%,

 

শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। দীর্ঘদিনের আলসারের যন্ত্রণা উপশমে কলা সহায়তা করে। কলায় মানুষের অনেক শক্তি যোগায় এছাড়াও কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিয়ে তাকায় মানুষের শরীর আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।  

কলায় মানুষের শরীরের নানান  রোগ প্রতিরোধ করে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানান উপকার করে। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকার কারণে  মানুষে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো ভূমিকা রাখে । স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যও কলা উপকারী।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় উচু পর্বতমালা  Highest mountains in the world


বাতের রোগীদের জন্য কলা খুবই উপকারী। বিশেষ করে গেটে বাতের ব্যথা দূরীকরণে কলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

মানুষের শরীরের শুষ্ক ত্বক ঠিক করা, চুলের উজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলা কিংবা শরীর থেকে ফ্যাট কমানো জন্যও কলার কোন বিকল্প নেই। কলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার কমায়। এ ছাড়া এতে  বিষেশ আরোও কিছু আছে যেমন পেক্টিন নামের ফাইবারও আছে, যা আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।

এছাড়াও বিভিন্ন তত্ত্ব মতে জানা যায়, কলায় উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার জন্য মানুষের চোখের নিচের ফোলা ভাব ঠিক করে দেয়। এর জন্য এক টুকরো কলা চটকে চোখের তলার ফোলা অংশের ওপর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য কলা খুবই উপকারী  যেমন ধরুণ কলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো রোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহয়তা করে ।

 এছাড়াও যেসব ধূমপান করছেনধূমপান ছাড়তে হলে বেশি বেশি করে কলা খান। কারণ কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬ এবং বি১২, এছাড়াও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম  মানুষের শরীর থেকে নিকোটিনের অনেক প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে। 

 প্রতিটি জাতের কলার মাঝে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল সেই জন্য প্রতিটি মানুষের এই কলা খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন সেই সাথে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা রাখা প্রয়োজন । 

 

 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ভিজিট করতে হলে এখানে ক্লিক করুন


 আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করতে হলে এখানে ক্লিক করুন
পুতুল আলতাব / Putul Altab 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.